বলরাম দাশ অনুপম:
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পর্যটন জেলা কক্সবাজারে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভালবাসা দিবস। প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিশুদ্ধ ভালবাসায় সবার মনে ছিল আনন্দের উচ্ছ্বাস আর বাধভাঙা সুর। বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বসেছিল প্রেমিক-প্রেমিকা ও ভ্রমণ পিপাসুদের মিলন মেলা। তবে করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা কম।

শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি নয়, ভালবাসার টানে সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকল বয়সের নর-নারী। কারো মনে ছিল আনন্দ আর কারো মনে ছিল বেদনা। আর এ ভালবাসা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কক্সবাজারে পর্যটক ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিলনমেলা। সাথে তাদের পথভারে মুখরিত হয়ে উঠে সমুদ্র সৈকত আর আশপাশের এলাকা।

সমুদ্র সৈকতের সারি সারি ঝাউবাগানের মাঝে আর সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বসে প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে ফুল আর উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের মাঝে লুকিয়ে থাকা দীর্ঘদিনের সুখ-দুঃখ আর আনন্দ-বেদনার কথা ভাগাভাগি করে নেয়। ভালবাসা দিবসের আনন্দকে ছুটে পর্যটক আর প্রেমিক প্রেমিকারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সীমাবদ্ধ না রেখে তা ছড়িয়ে দিয়েছে ইনানী পাথুরে বীচ, হিমছড়ির অপরুপ ঝর্ণা, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, আদিনাথ মন্দির ও রামুর দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ মন্দিরের অপরুপ সৌন্দর্য্যের মাঝে।

কাক ডাকা ভোরে শুরু হয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের রজনী শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকাকে, ছেলে মাকে, মা-বাবা সন্তানদের এবং ভাই-বোনের মধ্যে ছিল প্রাণঢালা ভালবাসার আবেগ। যে আবেগের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল সকল প্রাণ। শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, সকল বয়সের নর-নারী বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা (যারা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে) অধ্যয়নরত তাদের কারো হাতে ছিল লাল গোলাপ, রজনী গন্ধার স্টিক, কারো হাতে ভালবাসার প্রিয় মানুষকে দিতে সোনার আংটি কিংবা চেইন আবার কারো হাতে বিভিন্ন দামের কার্ড কিংবা উপহার সামগ্রী। একে অপরকে ভালবাসার আবেগ বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে হারিয়ে যায় অথয় ভালবাসার জলে আর আগামী বছরের এমন দিনটার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনার অপেক্ষা করেন।